দেবীপুরাণ অনুযায়ী মহিষাসুর নামে একজন দৈত্য তপস্যা দ্বারা ব্রহ্মা কে সন্তুষ্ট করেন , প্রজাপতি ব্রহ্মা তাকে একটি বর দেন যে কোনো পুরুষ তাকে পরাজিত বা হত্যা করতে পারবে না.. কিন্তু নারী তাকে পরাজিত করতে পারে | মহিষাসুর নিশ্চিন্ত হয় যে কোনো নারী তাকে কোনো দিন পরাজিত করতে পারবে না... সে অজেয় এবং অমর | নিজের ক্ষমতা বলে সে পৃথিবীর ওপর আক্রমন চালায় একপর্যায়ে সে স্বর্গেও নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেবতাদের কে যুদ্ধে পরাজিত করে | মহিষাসুর এর কাছে পরাজিত হযে ব্রহ্মা , বিষ্ণু এবং মহেশ্বর ঠিক করেন যে কোনো নারী শক্তি ,মহিষাসুর কে পরাজিত করতে পারে.. তাই তারা তাদের মিলিত শক্তি দিয়ে দূর্গা রূপ তৈরী করেন |
তার মুখশ্রী তৈরী করেন শিব, দশ বাহু তৈরী করেন বিষ্ণু ,পদযুগল তৈরী করেন ব্রহ্মা | এরপর দেবতাগণ তাকে অস্ত্র দান করেন... মহাদেব তাঁকে দেন ত্রিশুল, বিষ্ণু দেন চক্র, শঙ্খ ও পাশ দেন বরুন , অগ্নি দেন বর্শা, তীর দান করেন বায়ু , ইন্দ্র দেন বজ্র, যম এর কাছ থেকে তিনি পান তরবারি ও ঢাল , বিশ্বকর্মা তাকে দেন কুঠার,কুবের দেন অমৃত এবং পর্বত দেবতা হিমাবত তাকে দেন একটি সিংহ | বহু অলংকারাদি এবং পুস্পমাল্য দ্বারা দেবী কে সুসজ্জিত করা হয় |
দেবীর রণ হুঙ্কার ধবনিত হয়, মহিষাসুর তার সৈন্য দের সাথে দেবীর সাথে যুদ্ধে অগ্রসর হন.. কিন্তু দেবী দূর্গা যখন তার প্রায় সব সৈন্য দের হত্যা করেন... মহিষাসুর তখন মহিষ রূপ ধারণ করে দেবী কে আক্রমন করেন | দেবী দূর্গা তরবারির এক আঘাতে ধার থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন | এভাবেই মহিষাসুর যুদ্ধে পরাজিত হন | দেবী দূর্গা মহিষাসুরের বুকে ত্রিশুলাঘাত করেন এবং মহিষাসুর এর মৃত্যু হয় | মহিষাসুর মৃত্যুর পূর্বে দেবী দুর্গার কাছে নতি স্বীকার করেন এবং তার স্তুতি করেন |
শারদীয় দূর্গা উত্সব অকাল বোধনে করেছিলেন রাম, রাবণ কে পরাজিত করবার জন্য. (যদিও এটা আদি বাল্মীকি রামায়ন এ নেই.. কৃত্তিবাস রামায়ন এ আছে), আমরা এই রীতি পালন করে থাকি.... সাধারণত বছরে ৩ বার দূর্গা পূজা হয়.. শরত কালে দূর্গা, হেমন্তে কাত্যায়নি এবং বসন্তে বাসন্তী পূজা |
( সংক্ষেপিত)..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন